শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
কুড়িগ্রামে সরকারি ভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু,ধানের কেজি ৩৬ চাউল ৪৯ টাকা ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের ডিমের খাঁচায় বিশেষ কৌশলে গাঁজা পাচার: গ্রেপ্তার ২ শুক্রবার ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি যুদ্ধ শিবগঞ্জ সরকারি এম.এইচ কলেজে নবাগত অধ্যক্ষকে সংবর্ধনা দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে রিডিং রুম উদ্বোধন শ্রম বিষয়ক মিডিয়া পুরষ্কার পাওয়ায় সাংবাদিক এমদাদকে গণ সংবর্ধনা শিবগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন জান্নাতি হত্যা মামলা: মুখোশধারীদের হুমকিতে আইনজীবী আতঙ্কে কুড়িগ্রাম উলিপুরে মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধ: বৈঠকে সংঘর্ষ, থানায় মামলা ইবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত কৃষ্ণচূড়া ফুলে সাজানো মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাস লালমনিরহাটে গৃহবধূর আত্মহত্যা: অসুস্থতা ও আর্থিক সংকটই কারণ বলে ধারণা ভালুকার পাঁচ তরুণের মানবিক উদ্যোগে গাজায় খাবার পেল ২০০ জন মানুষ

এনায়েতপুরে জামায়াত কর্মী হত্যায় আ’লীগের ৩০ জনের নামে মামলা

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ওয়ারেছ আলী (৫৫) হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ ১২ বছর পর মামলা হয়েছে।

এ মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহম্মেদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সহ-সভাপতি রাসেদুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি ও দলের নেতা জয়নাল আবেদীনসহ আওয়ামী লীগের ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।এতে আরও ৩৫ থেকে ৩৬ জন
আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ কোর্টের এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবি আবু তালেব আকন্দ এমামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতের বিচারক ওমর ফারুক মামলাটি আমলে নিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর এনায়েতপুর থানার একজন সক্রীয় কর্মী ওয়ারেছ আলী। তিনি ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোরে এনায়েতপুর হাটে কাপড় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ভ্যান গাড়িতে রওনা হন।
এই হাটের মধ্যে কাপড় বেচাকেনা শেষ হলে হাফেজ আল-আমিনের সঙ্গে তার দেখা হয়। পরবর্তীতে তারা দুজন একত্রে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এরই এক পর্যায়ে সকাল ১১ টার দিকে এনায়েতপুর থানার দক্ষিণ পাশের সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলী মাটিতে নুয়ে পড়েন। পরে তার সঙ্গে থাকা কাপড় বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইন ফোন নিয়ে নেয় তারা। এরপর জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হাফেজ আল-আমিনকে কিল ঘুসি মেরে এনায়েতপুর থানার দিকে নিয়ে যায়।

এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলীকে উদ্ধার করে খাজা ইউনুস আলী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ওয়ারেছ আলীর ছেলে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল তারা। এই হত্যার পর আমাদেরকে তারা সতর্ক করে দেয়, এটা নিয়ে যেন কোন প্রকার মামলা করা না হয়। পরে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শ অনুযায়ী এতোদিন মামলা করা হয়নি।
কিন্তু সেই সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অবশ্যই মামলা করবো।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১৫-১২৫২৪৩